ডেস্টিনেশন কেদারনাথ
কীভাবে যাবেন ?
- রেজিস্ট্রেশন ম্যান্ডেটরি। অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই হয়। অফলাইন করতে গেলে সোনপ্রয়াগে পৌঁছে করতে হয়।(অনলাইন রেজিট্রেশন করে নেওয়ায় ভালো) অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ওয়েবসাইট Click here
- সোনপ্রয়াগ থেকে 400 মিটার হেঁটে গৌরিকুন্ড যাওয়ার জীপ স্ট্যান্ড।এখানে এসে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব গাড়িতে উঠতে হবে।নিজেদের লাগেজ প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। নইলে গৌরিকুন্ড যাওয়ার সময় জলে ভিজবে।ঝর্নার নীচে দিয়ে গাড়ি যাবে দু জায়গায়।ড্রাইভার লাগেজ গাড়ির ওপরে তুলে দেবে।
- গৌরিকুন্ড তে নামার পর 500মিটার হেঁটে গৌরিকুন্ড বাজার আসতে হবে।এখানেই সব হোটেল আছে।লাগেজ রাখার জন্য সব হোটেলেই ক্লক রুম আছে।
- কেদারনাথ হেলিকপ্টারে গেলে গৌরিকুন্ড আসার দরকার নেই। হেলি সার্ভিস গুপ্তকাশী,ফাটা ও সেরশী থেকে শুরু হয়। বুকিং : https://heliservices.uk.gov.in
- হেলিকপ্টার ছাড়া গৌরিকুন্ড থেকে হেঁটে যেতে হবে।লাঠি ,রেইনকোট সব দোকানেই পাওয়া যাবে। হাঁটতে না চাইলে ঘোড়া /পিট্টু/ ডোলি এই সুবিধে নিতে হবে।গৌরিকুন্ড থেকে বুকিং হয়।500মিটার হেঁটে ঘোড়া বুকিং এর সরকারি অফিস আছে। ঘোড়া কেদারনাথ বেস ক্যাম্প অবধি যাবে
- গৌরিকুন্ড থেকে ভীমবলী/রামবারা অবধি হালকা চড়াই উতরাই রাস্তা।মন্দাকিনী নদী রাস্তার ডানদিকে থাকবে।
- ভীমবলীতে নদী ব্রীজ পেরোলে রাস্তা অনেকটা বেশী এবং কিছুটা লম্বা চড়াই রাস্তা। রামবারা দিয়ে নদী পেরোলে রাস্তা একটু কম হবে। ভীমবলি থেকে রামবারা 1কিমি।
- ভীমবলি/রামবারা তে মন্দাকিনী নদী পেরোনোর পর থেকে একদম কেদারনাথ বেস ক্যাম্প অবধি পুরোটাই খাড়াই রাস্তা। মাঝে খুব বেশি হলে 100মিটার ডাউন রাস্তা আছে। শেষ trail টুকু ভীষণ টাফ।
কোথায় খাওয়া দাওয়া করবেন ?
- রাস্তায় খাবারের দোকান প্রচুর। তবে গৌরিকুন্ড থেকে যত উপরে উঠবেন খাবারের দাম, জলের দাম বাড়তে থাকবে।
- যারা হেঁটে যাচ্ছেন খুউব অসুবিধে হলে মাঝ পথে ঘোড়া,পিট্টু ভাড়া করতে পারেন।দরাদরি করতে হবে।
- পুজোর ডালি 50টাকা থেকে শুরু।লাইনে দাঁড়াতে হবে। VIP লাইনে গেলে মন্দিরের অফিস থেকে কুপন/টিকিট কাটতে হবে।
কোথায় থাকবেন ?
- কেদারনাথ মন্দিরের চারপাশে অনেক হোটেল আছে।হেলিপ্যাডের কাছে ও কেদারনাথ বেস ক্যাম্পে সরকারি গেস্ট হাউস আছে।বেস ক্যাম্পে প্রচুর টেন্ট আছে।
- খাওয়ার হোটেল অনেক আছে।
- স্বর্গারোহিনী কমপ্লেক্সে খাওয়ার জন্য গরম জলের Dispenser আছে।ওখান গরম জল নিতে পারেন।ফ্রি।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা:-
- গৌরিকুন্ড থেকে কেদারনাথ মন্দির অব্দি রাস্তা 16কিমি লেখা থাকলেও রাস্তা সম্ভবত 22কিমি+ হবে।
- কেদারনাথ কোনোভাবেই নরম্যাল বেড়ানোর ডেস্টিনেশন নয়।"উঠল বাই কেদার যাই" ভেবে বেরিয়ে পড়বেন না। এটা একদম High Altitude Trek.. Moderate Trek.
- রাস্তায় দেখেশুনে,দুর্গম হিমালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে, ধীরে সুস্থে, নিজের সুবিধে মত হাঁটবেন।কোনো কম্পিটিশন নয়। রাস্তায় যেমন মানুষের ভীড় তেমনি ঘোড়ার ভীড়।পুরোটা রাস্তা ঘোড়ার গোবরে ভরা।যদিও পরিস্কার করছে মাঝে মাঝে।
- এক্সপেন্সিভ জায়গা তাই বাজেট যা করবেন তার থেকে বেশি নিয়ে যাবেন।
- যারা হেঁটেই উঠবেন বলে মনস্থির করেছেন - ভয় পাবেন না।রওনা দেয়ার আগে মাসখানেক হাঁটা অভ্যেস করুন।ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করুন।নিজেকে ফিট রাখুন।শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিন।নইলে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে।
- সুস্থ শরীর, মন ও হাতের লাঠি শক্ত করে "জয় কেদার" ধ্বনি দিতে দিতে এগিয়ে যাবেন । আবার বলি রাস্তায় দেখেশুনে, ধীরে সুস্থে, নিজের সুবিধে মত হাঁটবেন।কোনো কম্পিটিশন নয়। ব্যাস এটুকু মনে রেখে এগিয়ে যাবেন।পৌঁছে যাবেন আপনার গন্তব্য কেদারনাথ।
জয় কেদার 🙏🙏🙏
হর হর মহাদেব🙏🙏🙏
ليست هناك تعليقات:
إرسال تعليق