Saturday, January 28, 2023

উইকএন্ড ট্যুরে পরেশনাথ পাহাড়

     

 ডেস্টিনেশন পার্শ্বনাথ

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৪৮০ ফুট উঁচু পরশনাথ পাহাড় ছোটনাগপুর মালভুমি- ঝাড়খন্ড রাজ্যের সর্বোচ্চ পাহাড় এবং জৈন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান।

 

 জৈন ধর্মের ২৪জন তীর্থঙ্করের মধ্যে ২৩জন (দ্বিমতে ২০জন) এই পাহাড়ে নির্বাণলাভ করেছিলেন। ২৩তম তীর্থঙ্কর ছিলেন পার্শ্বনাথ স্বামী।তাঁরই নামানুসারে এই পাহাড়ের নাম পরশনাথ পাহাড়।

 

এছাড়া শিখরজী,সম্মেদ শিখর নামেও পরিচিত।সাঁওতাল সম্প্রদায়ের কাছে এই পাহাড় মারাং বুরু হিসেবে পূজিত হয়। এই পাহাড় পরিক্রমা শুরু হয় পাহাড়ের নিচে ছোট্ট একটি জনপদ মধুবন থেকে। মধুবন হল এই পাহাড়ে প্রবেশদ্বার।  

 

চলুন  দেখে  নেওয়া যাক পরেশনাথ ঘুরতে গেলে কী কী জানা দরকার  ------

 

 

  • অবস্থান:-   ঝাড়খণ্ডের পরশনাথ স্টেশন থেকে ২৪কিমি ও ধানবাদ শহর থেকে ৭৪কিমি দূরে মধুবন। 

  • যাতায়াত:-  হাওড়া,শিয়ালদা ও কলকাতা স্টেশন থেকে অনেক ট্রেন আছে পরশনাথ স্টেশন যাওয়ার । স্টেশনে নেমে শেয়ার গাড়ি(৭০টাকা মাথাপিছু)  অথবা রিজার্ভ গাড়ি(৫০০টাকা) করে পৌঁছে যাওয়া যায় মধুবন।
 
  • থাকা :-  মধুবনে থাকার জন্য দু-চারটে হোটেল ছাড়া অনেক জৈন ধর্মশালা আছে। রুম হিসাবে ভাড়া মোটামুটি ৫০০টাকা থেকে ৩০০০টাকার মধ্যে। নন-এসি ,এসি  সবরকম রুম পাবেন।
 
  • খাওয়া:- ধর্মশালায় খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। ব্রেকফাস্ট,লাঞ্চ এবং সন্ধ্যের খাবার। সন্ধ্যে ৬টার পর কোনো খাবার জৈন ধর্মশালায় পাবেন না। (জৈন ধর্মাবলম্বীরা সূর্যাস্তের পর আর আহার করেন না)। তাই রাত্রে খাবার খেতে চাইলে বাইরে হোটেল থেকে খেতে হবে।

 

 

এবার মূল কথা অর্থাৎ পাহাড় পরিক্রমার ট্রেক :-

   মধুবন থেকে হাঁটা শুরু করে পাহাড় পরিক্রমা করে মধুবন ফিরে আসা পর্যন্ত মোট রাস্তা ২৭কিমি। 


মধুবন থেকে যাত্রা শুরু করে প্রথমে পড়বে কালিকুন্ড,গন্ধর্ব নালা তারপর শীতলনালা(৫কিমি)।এই শীতলনালা থেকে রাস্তা দুভাগ হয়েছে --একটা পার্শনাথ স্বামী টঙ্কের দিকে।শুধুমাত্র যার পার্শনাথ স্বামী টঙ্ক দর্শন করবেন তারাই এই রাস্তা ধরবেন। রাস্তা যথেষ্ট চড়াই।


যারা পুরো পরিক্রমা করবেন তারা শীতলনালা থেকে সোজা রাস্তা গেছে সেটা ধরবেন।পৌঁছবেন গৌতম স্বামী টঙ্ক,মধুবন থেকে ৯কিমি। এটাই পাহাড় পরিক্রমার মধ্য পয়েন্ট।  গোটা পাহাড় জুড়ে ৩০টি টঙ্ক/বা সমাধি মন্দির আছে। এই টঙ্কগুলো বিগ্রহহীন। বিভিন্ন তীর্থঙ্করের পাথরে খোদিত পদচিহ্ন আছে প্রত্যেক টঙ্কে। 

 

আর আছে একটি মন্দির- নাম জলমন্দির ।শুধুমাত্র এখানেই বিগ্রহ আছে। গৌতম স্বামী টঙ্কের পূর্বদিকে আছে ১৯টি টঙ্ক ও পশ্চিম দিকে আছে ১১টি টঙ্ক। গৌতম স্বামী থেকে দক্ষিণে ১কিমি দূরে রয়েছে জল মন্দির। পূর্বে চন্দ্রপ্রভু স্বামী টঙ্ক থেকে পশ্চিমে পার্শনাথ স্বামী টঙ্ক--এই ৩০টি টঙ্ক ও জলমন্দির দেখার জন্য রাস্তা প্রায় ৯কিমি।

 

 এই রাস্তা চড়াই উৎরাই মিলিয়ে। সমস্ত টঙ্ক দর্শন করে একদম শেষে পৌঁছতে হবে পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচুতে অবস্থিত অন্যতম আকর্ষণ ২৩তম তীর্থঙ্কর পার্শনাথ স্বামী টঙ্ক। পার্শনাথ স্বামী টঙ্ক থেকে মধুবন পর্যন্ত উৎরাই রাস্তা ৯কিমি।

 

মিশ্র প্রকৃতির পাহাড়ি জঙ্গলের নিঝুম পথ এই প্রায় ৩০কিমি রাস্তা কমপ্লিট করতে সময় লেগে যাবে প্রায় ১২-১৪ঘন্টা (তাড়াহুড়ো না করে,ধীরে সুস্থে,খাওয়া-দাওয়া করে,রেস্ট নিয়ে)। ভোর ৩/৪টেয় হাঁটা শুরু করলে সন্ধে ৭টার মধ্যে মধুবন পৌঁছে যাওয়া যাবে। 


   

 

১) রাস্তায় মাঝে মাঝে খাবারের দোকান।মাঝে মাঝে দেখা যাবে গাছেদের সঙ্গে সংসার পেতেছে হনুমান,বানরের দল।

২) পাহাড়ের উপর রাত্রিবাসের ব্যবস্থা একটি। গৌতম স্বামী টঙ্কের পাশে। যদি কেউ পাহাড়ের উপর রাত্রিবাস করতে চান তাহলে মধুবনে জৈন শেতাম্বর সোসাইটি থেকে অনুমতি নিতে হবে। সেই অনুমতি পত্র উপরে দেখালে তবেই আপনি থাকতে পারবেন।

৩) কেউ হেঁটে যেতে না চাইলে মধুবন থেকে ডোলি/বাইক বুক নিতে পারেন।
বাইকে গেলে আপনাকে পার্শনাথ স্বামী টঙ্কের কাছে নামিয়ে দেবে। এবার বাকি পরিক্রমা আপনাকে হেঁটে করতে হবে।
ডোলি দুরকমের :- প্লেন ডোলি (২৫০০টাকা) আর কুর্সি ডোলি(৪৫০০টাকা)। দরাদরি করতে পারেন।

তীর্থযাত্রী আর ভ্রমণার্থী দুইয়ের কাছেই অতি পবিত্র ও মনোরম এই পরশনাথ পাহাড়।


Wednesday, January 18, 2023

কেদারনাথের পথে পথেঃ ( দ্বিতীয় পর্ব ) খরচ কত হতে পারে

।। ডেস্টিনেশন কেদারনাথ ।।

     বাজেট >  একনজরে

 প্রথম পর্বে আমরা কেদারনাথ যাওয়ার একটা ধারনা পেয়েছি।

এবার আমরা জানবো কেদারনাথ গেলে কিরকম খরচ হতে পারে...


 

১) হরিদ্বার থেকে অনেক প্রাইভেট বাস সার্ভিস আছে । অফলাইন অনলাইন দুভাবেই বুকিং হয়।
অনলাইন:- redbus, Abhibus,makemytrip,goibibo etc.
অফলাইন:- TGMOC,GMOU এর অফিস বা  এজেন্সি গুলোও বুক করে দেয়।  হরিদ্বার স্টেশনের বাইরে বাস স্ট্যান্ডের আশেপাশে এই অফিস,অনেক এজেন্সি  আছে।

ভাড়া ৮০০ টাকা। অফারে ৬০০টাকা হয় আবার ১০০০ টাকাও হয়ে যায়।

বাস না পাওয়া গেলে এজেন্সি গুলো শেয়ার গাড়ি তে নিয়ে যায়। এগুলোর ভাড়া যাকে যেমন পায়। ৭০০টাকা থেকে ১৫০০টাকা।

২)হরিদ্বার থেকে সোনপ্রয়াগ যাওয়ার কোনো সরকারি বাস নেই। সরকারি বাস ঋষিকেশ বাস স্ট্যান্ড থেকে পাওয়া যায়। সরকারি বাস ধরতে চাইলে হরিদ্বার থেকে ঋষিকেশ বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। কোনো অনলাইন বুকিং হয়না।ভাড়া ৪০০ থেকে ৬০০টাকার মধ্যে। ( তবে মাঝে মাঝে হরিদ্বার থেকেও বাস থাকে। তবে সেটা হরিদ্বার বাস স্ট্যান্ড এ খোঁজ নিতে হবে।)

৩)বাস সার্ভিস সীতাপুরে সোনপ্রয়াগ বাস স্ট্যান্ড অব্দি যাবে।এখান থেকে সোনপ্রয়াগ 1.5km।

৪) হরিদ্বার এ থাকার হোটেল/ধর্মশালা আছে।

৫) হরিদ্বার থেকে দিন হিসাবে গাড়ি রিজার্ভও হয়।চার সিটের গাড়ি দিনপ্রতি 3000 টাকা হিসাবে ভাড়া নেয়।প্যাকেজ ট্যুরও হরিদ্বার থেকে হয়।
শুধু সোনপ্রয়াগ যাওয়ার জন্য গাড়ি রিজার্ভ করতে পারেন।ভাড়া 5k-8k।

৬)গৌরিকুন্ড থেকে শেয়ার গাড়ি 50টাকা জনপ্রতি।রিজার্ভ করতে চাইলে 10জনের হিসাবে 500টাকা নেবে।

৬) গৌরিকুণ্ডে হোটেল প্রচুর আছে।
GMVN ও আছে। GMVN Booking> Click here for booking

হোটেল:- ডবল বেড 1500টাকা , ট্রিপল বেড 2500টাকা , ফোর বেড 3500টাকা ।এই হিসেবে ধরে রাখুন।রিকোয়েস্ট করতে হবে। দরদাম করতে হবে। কোনো ফিক্সড রেট নেই।
(সেপ্টেম্বর,2022 লাস্ট উইক ফোর বেড 3k নিয়েছিল)

৭)গৌরিকুন্ডে লাঠি 50টাকা। রেইনকোট 100টাকা।
ফিরে এসে লাঠি ফেরতও দিতে পারেন 20/30 টাকায়। রেইনকোট ওপরে কিনলে দাম বেড়ে যাবে।

৮) পুরো রাস্তা জুড়েই খাবারের দোকান। চা,ম্যাগি,আলু পরোটা, রাজমা চাউল  লেবু জল, ফল সব কিছুই আছে।

 



৯) কেদারনাথে থাকার জায়গা:-

কেদারনাথ বেস ক্যাম্প(নন্দী কমপ্লেক্স) ও কেদারনাথ হেলিপ্যাডের কাছে  GMVN (স্বর্গারোহিনী কমপ্লেক্স) আছে।

বেস ক্যাম্প ও হেলিপ্যাডের কাছে বড় ছোট মিলিয়ে প্রচুর টেন্ট আছে।
রেট মাথাপিছু 400-600টাকা।

মন্দিরের আশেপাশে হোটেল ভাড়া 5k থেকে শুরু করে 12k পর্যন্ত হাঁকে।কতজন যাবেন সেই হিসাবে ওরা হাঁকে। মাথাপিছু 1000থেকে 2000টাকা ধরে রাখুন। যা বলবে দরাদরি করে কমাতে হবে।

***গুগল ম্যাপে কেদারনাথের প্রায় হোটেলের ফোন নং  ফ্রড আছে। তাই আগে ভালো ভাবে  যাচাই করে বুক করবেন। স্ক্যাম এ পা দেবেন না।

কেদারনাথ এর হোটেলের ভিজিটিং কার্ড বা ফোন নং সোশ্যাল মিডিয়ায়  বিভিন্ন গ্রুপে   অনেকেই পোস্ট করেছেন। সেগুলোই ফোন করুন।সব গুলোই কথা বলুন।পেমেন্ট করার আগে একবার ভিডিও কল করে হোটেল থেকে মন্দির বা এলাকা একটু দেখাতে বলবেন।  এরকম ভাবে কনফার্ম করতে পারেন।😀

অনেকে মন্দিরের পূজারীর মাধ্যমে বুক করেন।সেটাও ভালো।

শুধু অনলাইন থেকে ফোন নং নিয়ে 'ফট' করে বুক/পেমেন্ট করবেন না।
কম রেটের কথা বলে আপনাকে তাড়াতাড়ি পেমেন্ট করতে বলবে।(আমার এক আত্মীয়ের হয়েছে এমন ঘটনা ৩০০০ টাকা গেছে এরমভাবে)
তাই ভুলেও পা দেবেন না।

সবচেয়ে বেস্ট অপশন GMVN বুক করা।কোনো রিস্ক থাকবেনা।

১০) কেদারনাথে সবকিছুর দাম বেশি। যা দাম তার থেকে দুগুন-তিনগুন দাম বেশি।

যেমন:- চা30,কফি40,ম্যাগি80-100,জিলিপি 100গ্রাম 50টাকা, 1লিটার জল 50-80 টাকা,ভেজ থালি 150-200 টাকা এমন।

ভাণ্ডারা:- অনেক ভাণ্ডারা আছে।একটু খুঁজে নিতে হবে।যতক্ষন খাবার থাকবে ততক্ষণ খাবার পাবেন। দেখবেন অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন।কোথাও থালা নিয়ে মানুষজন লাইন দিয়েছেন। এসব দেখে বুঝে যাবেন।বা পুলিশ/পন্ডিতজি ওঁদের জিজ্ঞাসা করে নিতে পারেন।
ভাণ্ডারার দানপাত্রে চাইলে আপনি ইচ্ছেমত দানও করতে পারেন।

১১) হেলিকপ্টার সার্ভিস( kedarnath helicopter price )

    Helicopter Booking > Click here
হেলি পয়েন্ট                 রাউন্ড ট্রিপ ফেয়ার
*গুপ্তকাশী           থেকে       7750 টাকা
*ফাটা                  থেকে      4720 টাকা
*সেরশী               থেকে       4680 টাকা  

১১)***
2013 সালে ফুঁসে ওঠা মন্দাকিনীর তান্ডবে ধুলিস্মাৎ হয়ে গেছিল কেদার ধাম। একটা বিরাট প্রকান্ড পাথর বাঁচিয়ে ছিল মহাদেবের মন্দির। সরকার নতুন করে রাস্তা তৈরি করে কেদার ধাম সাজিয়ে তুলেছে।সিনেমা হয়েছে 2013র মহাপ্রলয় নিয়ে। যেভাবে সেখানে কংক্রিটের বিল্ডিং তৈরির কাজ চলছে ভবিষ্যতে কী হবে স্বয়ং কেদার বাবা জানেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে কেদারনাথ ধাম এখন লাইমলাইটে।
মানুষের আনাগোনা যত বাড়ছে, সেখানে থাকা-খাওয়ার খরচ বেড়েছে।
কোনোকিছুর ফিক্সড রেট নেই।যে যেভাবে পারছে দাম নিচ্ছে।
সার্বিকভাবে আমি খরচের একটা ধারণা দেয়ার চেষ্টা করলাম। রেট কম বেশি হবে।
যারা ইতিমধ্যে ঘুরে এসেছেন আপনারাও রেট গুলো জানাবেন।
আমার কোথাও ভুল হলে বলবেন কারেকশন করে নেবো।

জয় কেদার 🙏🙏🙏
হর হর মহাদেব🙏🙏🙏

 


 

 

 

 

Friday, January 13, 2023

কেদারনাথের পথে পথে : (প্রথম পর্ব ) কেদারনাথ একনজরে

ডেস্টিনেশন কেদারনাথ 

             
কীভাবে যাবেন ?

  •  রেজিস্ট্রেশন ম্যান্ডেটরি। অনলাইন ও অফলাইন দুভাবেই হয়। অফলাইন করতে গেলে সোনপ্রয়াগে পৌঁছে করতে হয়।(অনলাইন রেজিট্রেশন করে নেওয়ায় ভালো) অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করার জন্য ওয়েবসাইট  Click here


  • সোনপ্রয়াগ থেকে 400 মিটার হেঁটে গৌরিকুন্ড যাওয়ার জীপ স্ট্যান্ড।এখানে এসে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব  গাড়িতে উঠতে হবে।নিজেদের লাগেজ প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে নিতে হবে। নইলে গৌরিকুন্ড যাওয়ার সময় জলে ভিজবে।ঝর্নার নীচে দিয়ে গাড়ি যাবে দু জায়গায়।ড্রাইভার লাগেজ গাড়ির ওপরে তুলে দেবে।
  • গৌরিকুন্ড তে নামার পর 500মিটার হেঁটে গৌরিকুন্ড বাজার  আসতে হবে।এখানেই সব হোটেল আছে।লাগেজ রাখার জন্য সব হোটেলেই ক্লক রুম আছে।
  • কেদারনাথ হেলিকপ্টারে গেলে গৌরিকুন্ড আসার দরকার নেই। হেলি সার্ভিস গুপ্তকাশী,ফাটা ও সেরশী থেকে শুরু হয়।    বুকিং : https://heliservices.uk.gov.in
  • হেলিকপ্টার ছাড়া গৌরিকুন্ড থেকে হেঁটে যেতে হবে।লাঠি ,রেইনকোট সব দোকানেই পাওয়া যাবে। হাঁটতে না চাইলে  ঘোড়া /পিট্টু/ ডোলি এই সুবিধে নিতে হবে।গৌরিকুন্ড থেকে বুকিং হয়।500মিটার হেঁটে ঘোড়া বুকিং এর সরকারি অফিস আছে। ঘোড়া কেদারনাথ বেস ক্যাম্প অবধি যাবে
  • গৌরিকুন্ড থেকে ভীমবলী/রামবারা অবধি হালকা চড়াই উতরাই রাস্তা।মন্দাকিনী নদী রাস্তার ডানদিকে থাকবে।
  • ভীমবলীতে নদী ব্রীজ পেরোলে রাস্তা অনেকটা বেশী এবং কিছুটা লম্বা চড়াই রাস্তা। রামবারা দিয়ে নদী পেরোলে রাস্তা একটু কম হবে। ভীমবলি থেকে রামবারা 1কিমি।
  • ভীমবলি/রামবারা তে  মন্দাকিনী নদী পেরোনোর পর থেকে একদম কেদারনাথ বেস ক্যাম্প অবধি পুরোটাই খাড়াই রাস্তা। মাঝে খুব বেশি হলে 100মিটার ডাউন রাস্তা আছে। শেষ trail টুকু ভীষণ টাফ।


কোথায় খাওয়া দাওয়া করবেন ?

  • রাস্তায় খাবারের দোকান প্রচুর। তবে গৌরিকুন্ড থেকে যত উপরে উঠবেন খাবারের দাম, জলের দাম বাড়তে থাকবে। 
  • যারা হেঁটে যাচ্ছেন খুউব অসুবিধে হলে মাঝ পথে ঘোড়া,পিট্টু ভাড়া করতে পারেন।দরাদরি করতে হবে। 
  • পুজোর ডালি 50টাকা থেকে শুরু।লাইনে দাঁড়াতে হবে। VIP লাইনে গেলে মন্দিরের অফিস থেকে কুপন/টিকিট কাটতে হবে। 

কোথায় থাকবেন ?

  • কেদারনাথ মন্দিরের চারপাশে অনেক হোটেল আছে।হেলিপ্যাডের কাছে ও কেদারনাথ বেস ক্যাম্পে সরকারি গেস্ট হাউস আছে।বেস ক্যাম্পে প্রচুর টেন্ট আছে।

  • খাওয়ার হোটেল অনেক আছে।
  • স্বর্গারোহিনী কমপ্লেক্সে খাওয়ার জন্য গরম জলের Dispenser আছে।ওখান গরম জল নিতে পারেন।ফ্রি।



কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা:- 

  • গৌরিকুন্ড থেকে কেদারনাথ মন্দির অব্দি রাস্তা 16কিমি লেখা থাকলেও রাস্তা সম্ভবত 22কিমি+ হবে।
  • কেদারনাথ কোনোভাবেই নরম্যাল বেড়ানোর ডেস্টিনেশন নয়।"উঠল বাই কেদার যাই" ভেবে বেরিয়ে পড়বেন না। এটা একদম High Altitude Trek.. Moderate Trek.

  • রাস্তায় দেখেশুনে,দুর্গম হিমালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে, ধীরে সুস্থে, নিজের সুবিধে মত হাঁটবেন।কোনো কম্পিটিশন নয়। রাস্তায় যেমন মানুষের ভীড় তেমনি ঘোড়ার ভীড়।পুরোটা রাস্তা ঘোড়ার গোবরে ভরা।যদিও পরিস্কার করছে মাঝে মাঝে।

  • এক্সপেন্সিভ জায়গা তাই বাজেট যা করবেন তার থেকে বেশি নিয়ে যাবেন।

  • যারা হেঁটেই উঠবেন বলে মনস্থির করেছেন - ভয় পাবেন না।রওনা দেয়ার আগে মাসখানেক হাঁটা অভ্যেস করুন।ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করুন।নিজেকে ফিট রাখুন।শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিন।নইলে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। 

  •  সুস্থ শরীর, মন  ও হাতের লাঠি শক্ত করে "জয় কেদার" ধ্বনি দিতে দিতে এগিয়ে যাবেন । আবার বলি রাস্তায় দেখেশুনে, ধীরে সুস্থে, নিজের সুবিধে মত হাঁটবেন।কোনো কম্পিটিশন নয়। ব্যাস এটুকু মনে রেখে এগিয়ে যাবেন।পৌঁছে যাবেন আপনার গন্তব্য কেদারনাথ।




  জয় কেদার 🙏🙏🙏
হর হর মহাদেব🙏🙏🙏

Exploring the Rich Tapestry of Indian Tourism: A Journey Through Diversity

 Exploring the Rich Tapestry of Indian Tourism: A Journey Through Diversity    Preface:    India, with its vast and different geography, ric...